দক্ষিণ আন্দামান ও দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরের যে লঘুচাপ তৈরি হয়েছিল, সেটি যে শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে, তা আগেই জানিয়েছিলেন আবহাওয়াবিদরা।

গতকাল শুক্রবার (৬ মে) তারা বলেন, ওই নিম্নচাপই আরও জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করে শক্তি বাড়িয়ে আগামী ৮ মে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে কতটা প্রভাব ফেলবে বা আদৌ প্রভাব ফেলবে কিনা, তা স্পষ্ট জানায়নি আবহাওয়া অধিদফতর।

যদিও আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফররের আবহাওয়াবিদ ড. মো. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতি নিয়ে এখনই কিছু বলা ঠিক হবে না। তারা লঘুচাপের ওপর নজর রাখছেন।

যদিও বেসরকারি একটি সূত্র দাবি করেছে, আগামী ১৩ মে নাগাদ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। আমেরিকার নৌবাহিনী পরিচালিত জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার থেকে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে কানাডার সাসকাচুয়ান ইউনিভার্সিটির আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক বাংলাদেশি পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন,

গতকাল সকালে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে (আন্দামান ও নিকবার দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পশ্চিমে) একটি নিম্নচাপ ও নিম্নচাপ কেন্দ্রে বাতাসের সুস্পষ্ট ঘূর্ণন সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে নিম্নচাপটি আন্দামান ও নিকবার দ্বীপপুঞ্জের পোর্ট ব্লেয়ার থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে।

সেখানে সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা ৩০ থেকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য সমুদ্রের পানির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দরকার ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

একই স্থানে উলম্ব বায়ু শিয়ার এর মান ৫ থেকে ১৫ নটিক্যাল মাইল, যা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য খুবই আদর্শ অবস্থা নির্দেশ করে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় এই নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার প্রবল সম্ভাবনার কথা নির্দেশ করছে আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো।